সকল খবর দেশের খবর

২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে নতুন তথ্য সাবেক সেনাপ্রধানের !

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৭-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৮১

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া দাবি করেছেন, ২০১৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমঝোতা হয়েছিল। তবে, আওয়ামী লীগ সেই ওয়াদা রক্ষা করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।

ইকবাল করিম ভুঁইয়া বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়ে কিছু ব্যক্তি প্রশ্ন তুলছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রক্ষমতা যখন বিএনপির হাতে ছিল (২০০১-২০০৬), তখন প্রধান বিচারপতির অবসরের বয়স বাড়িয়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করা হয়। ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনামল শেষ হলে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেন, কিন্তু তিনি রাজনৈতিক অস্থিরতা সামাল দিতে ব্যর্থ হন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচন স্থগিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। তবে, বিএনপি সেই নির্বাচনকে কারসাজিপূর্ণ বলে দাবি করে।

ইকবাল করিম ভুঁইয়া বলেন, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে, যা আওয়ামী লীগকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেয়। তিনি দাবি করেন, কিছু পশ্চিমা দূতাবাসের চাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি এবং বিএনপি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। ইকবাল করিম ভুঁইয়া জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর নয়। তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট অস্থিরতা থেকে সেনাবাহিনীকে দূরে রাখতে পেরেছিলেন।

ইকবাল করিম ভুঁইয়ার এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্কে তার এই মন্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।