সকল খবর দেশের খবর

৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তদন্তে ডাটা এন্ট্রি চলছে

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৭-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৬১

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক) জানিয়েছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করতে ৯০ হাজার অভিযোগের ডাটা এন্ট্রির কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ৫০ হাজার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতিকরণ করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু, এমনকি যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনি নন, তারাও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি, শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা নিচ্ছেন। এসব অভিযোগ তদন্তের আওতায় আসছে।  

ফারুক-ই-আজম বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আবেদনকারী যে সেক্টরে যুদ্ধের দাবি করেছেন, সেই সেক্টরের কমান্ডার বা সহযোদ্ধারা তাকে চেনেনই না। এমন শত শত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তথ্য আমরা পেয়েছি।" 

মন্ত্রণালয় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহারের সুযোগ দিচ্ছে। যারা নাম প্রত্যাহার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের গেজেট বাতিল করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণিবিন্যাস করার কাজও চলছে। রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী, ফুটবলার, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। 

ফারুক-ই-আজম বলেন, "মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের পর দ্রুত এই তদন্ত শেষ করা হবে। আমরা আশা করছি, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা তৈরি করতে সক্ষম হব।"