সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও সকাল সাড়ে ১০টার পর উভয় বাজারেই সূচকের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আরও ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর সূচক আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৪৭ পয়েন্টে। তবে আধা ঘণ্টা পর, সকাল সাড়ে ১০টায় সূচক কিছুটা কমে আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান নেয় ৫ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে।
এ সময়ে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১২২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ২১৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।
ডিএসইতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ২১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
এই সময়ের মধ্যে ডিএসইতে ১৮৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৩টি এবং ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রবি, ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স, সালাম স্টিল, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইজেনারেশন, শাইনপুকুর সিরামিক, সালভো কেমিক্যাল ও রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অপরদিকে, একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সূচকের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সকাল সাড়ে ১০টায় সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে।
সিএসইতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। এ সময়ে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৬টির কমেছে এবং ২টির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাজারে কিছুটা গতি ফিরলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থার পূর্ণ পুনরুদ্ধারে সময় প্রয়োজন। নীতিগত স্থিতিশীলতা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়লে বাজার আরও স্থিতিশীল হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তারা।