যেসব নারীরা আদর্শগত কাজে জড়িত অথবা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন, সেসব নারীরাই সাইবার আক্রমণের শিকার বেশি হচ্ছেন বলে একটি আলোচনাসভায় উঠে এসেছে।
শনিবার গবেষণাভিত্তিক এডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ভয়েস-এর আয়োজনে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতার সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ প্রকাশ’ শীর্ষক তথ্যবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভয়েসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রমিতি প্রভা চৌধুরী।
তিনি গত বছর অক্টোবর থেকে ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতার ১৩ টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে বলেন, যেসব নারীরা কোন আদর্শগত কাজে জড়িত, যেমন, সাংবাদিক এবং মানবাধিকারকর্মী, অথবা নিজ নিজ কার্যক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখছেন, তারা সাইবার আক্রমণের শিকার বেশি হচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নারী সমন্বয়ক এবং সাধারণ নারী যারা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাদের প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হয়রানিমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয় যা তাদের বাস্তব জীবনেও চরম প্রভাব ফেলেছে।”
তাই সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই অনলাইনে রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চা এবং বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ থেকে বিরত রয়েছেন বলে মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
সভার আলোচনায় আরো উঠে আসে যে, সাইবার স্পেসে নারীদের হয়রানির সমাধানকল্পে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনে গত সাড়ে তিন বছরে (২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত) সাইবার অপরাধের শিকার ৬০ হাজার ৮০৮ জন নারী প্রতিকার চেয়েছেন।
সাইবার স্পেসে ভুক্তভোগী এসব নারীর ৪১ ভাগই ডক্সিংয়ের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১৮ ভাগ ফেইসবুক আইডি হ্যাক, ১৭ ভাগ ব্ল্যাকমেইলিং, ৯ ভাগ ইমপার্সোনেশন, ৮ ভাগ সাইবার বুলিংজনিত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।