অন্যান্য খবর রাজনীতি

বিএনপির নতুন কর্মসূচি সারাদেশে

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৮-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৪৬

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান মাস পর্যন্ত সারাদেশে বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে সভা-সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে দলটি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবে।

আজ শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান মাস পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”

রিজভী আরও বলেন, "বর্তমান সরকারের নীতির বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন চলমান থাকবে। বিএনপি জনগণের পক্ষে কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা সরকারকে এই মর্মে জানাতে চাই যে, রাষ্ট্রযন্ত্রের দখল নেয়া শাসকগোষ্ঠীকে জনগণের চাপে পরাজিত করতে হবে।"

তিনি বলেন, “বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য জনগণের সাফল্য হিসেবে গণ্য হবে। তবে সরকারের ব্যর্থতার দায় তাদেরকেই নিতে হবে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।”

রিজভী দাবি করেন, গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর থেকেই সরকারের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের গুপ্ত হামলার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারকে আর সহ্য করা হবে না। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি অস্থিতিশীল করে তুলেছে।"

এছাড়া, তিনি সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে বলেন, "এরা দেশের পুলিশ ও প্রশাসনকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপনীয় ষড়যন্ত্র করছে।"

রিজভী আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের দুর্নীতির চক্রকে যদি এখনই না রোখা হয়, তবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে পড়বে। সরকারের গণহত্যাকারী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।"

তিনি বলেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশে আইনের শাসন কার্যকর হবে না এবং দেশের ভবিষ্যৎ আরও সংকটময় হয়ে উঠবে।”

এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়, এবং এটি তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও দাবির অংশ হিসেবে থাকবে।