ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নির্বাচনের আচরণবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী, প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন আবিদুল ইসলাম খান। সেখানে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছিলেন। এ সময় কিছু জাতীয় গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে 'নিয়ম ভঙ্গ' করার অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
তবে খোদ আচরণবিধির ১২(খ) ধারা বলছে, "নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।" অর্থাৎ প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে সরাসরি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, বরং অনুমতি সাপেক্ষে সেটি বৈধ।
এ বিষয়ে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, "আমি নিজে থেকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি।"
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, "আবিদ মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছে। আচরণবিধিতে স্পষ্ট বলা আছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি থাকলে প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। সেটাই করেছে আবিদ। অথচ তার বিরুদ্ধে নিউজ হয়ে গেল কেন, সেটা বোধগম্য নয়।"
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। ভোটারদের ৫ পাতার ডাকসু ব্যালট ও ১ পাতার হল সংসদের ব্যালটে মোট ৪১টি ভোট প্রদান করতে হচ্ছে।
নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।