অন্যান্য খবর ব্যবসা ও বাণিজ্য

দেশি তুলার কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব !

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৭-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৬০

তুলাকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা এবং দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে দুই মাসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশি তুলার ওপর আরোপিত কর জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ সোমবার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বাংলাদেশ তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। তামাক চাষের জমির কিছু অংশে তুলা চাষ করলে কৃষকও লাভবান হবেন, আবার দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। তিনি বলেন, কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেলেও দেশের জন্য ভালো হয়, এমন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। এ ক্ষেত্রে নীতিসহায়তা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমা পেছানো উচিত হবে না বলেও জানান তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, উত্তরণের জন্য সরকার ও ব্যবসায়ীরা আগে তেমন কোনো প্রস্তুতি নেয়নি। তবে থেমে থাকা যাবে না। উত্তরণ–পরবর্তী তিন বছর সময় পাওয়া যাবে, তখনই ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নেবেন।

বাংলাদেশ কটন জিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাবের বলেন, বাংলাদেশে তামাক কৃষিপণ্য হলেও তুলাকে এখনো কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে তুলাচাষি ও জিনার্সরা কৃষিঋণ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার তুলা আমদানি করতে হয়। বিপুল এই বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে এক-চতুর্থাংশ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব বলে মনে করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ফকরে আলম ইবনে তাবিব।

ফকরে আলম ইবনে তাবিব বলেন, ধানের জমিতে তুলা চাষ হয় না। তুলা মূলত চরাঞ্চল, বরেন্দ্র এলাকা, দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা, পাহাড়ি এলাকাসহ উঁচু জমিতে চাষ করা হয়। নীতি সহযোগিতা দেওয়া হলে খাদ্যনিরাপত্তা ব্যাহত না করেই দেশে ২০ থেকে ২৫ লাখ টন তুলা উৎপাদন করা সম্ভব।

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা বলেন, তুলা এখনো কৃষিপণ্য নয় বা দেশি তুলার ওপর বৈষম্যমূলক কর আছে, অনেকে তা জানত না। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় নীতি সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইআরএফ, বাংলাদেশ কটন জিনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সুদান কটন জিনিং ইন্ডাস্ট্রিজ।