সকল খবর ভূমি বিষয়ক খবর

এজমালি সম্পত্তি বণ্টন: কীভাবে কার্যকরী হবে?

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৯-৪-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০২৩

যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি, যা একাধিক ব্যক্তি মিলেমিশে ব্যবহার ও ভোগ দখল করে, তাকে এজমালি সম্পত্তি বলা হয়। সাধারণত এজমালি সম্পত্তি পূর্বে একক মালিকানাধীন ছিল এবং সময়ের সাথে সাথে তা ভাগ হয়ে যায়। বিশেষত, কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই সম্পত্তি বণ্টিত হয়। তবে, সম্পত্তি বণ্টন সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সম্পত্তি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

ধরা যাক, আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার ৩ ভাই-বোনের মধ্যে জমি বণ্টন করতে হবে। আপনি দুই ভাই ও এক বোন আছেন। আপনার মৃত্যুর পর এই জমি কীভাবে বণ্টন হবে? এই বণ্টন প্রক্রিয়া কীভাবে হতে হবে?

প্রথমেই বলা উচিত, এ ধরনের সম্পত্তি বণ্টন করার ক্ষেত্রে ভাই-বোনেরা একে অপরের সম্মতিতে এবং পারস্পরিক আলোচনা করে জমির বণ্টন করতে পারেন। এতে সব পক্ষের সম্মতি থাকলে অনেক দ্রুত ও সহজে সম্পত্তি বণ্টন করা সম্ভব। তবে, যদি কেউ অমত প্রকাশ করে কিংবা কোনো পক্ষ সম্মত না হয়, তখন আদালতে গিয়ে মামলা করা যেতে পারে।

বাটোয়ারা মামলায় গেলে সকল ভাই-বোনকেই আদালতের পক্ষ হতে আসতে হয়। এর ফলে, মামলার খরচ, সময় এবং আদালতে চলা নানা আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে। বিশেষ করে, মামলার কারণে বছরে কয়েকবার আদালতে উপস্থিত হতে হলে যাতায়াত খরচ এবং আইনজীবী খরচও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু, যদি আপোষে সম্পত্তি বণ্টন করা যায়, তবে কোনো প্রকার বাড়তি খরচ ছাড়া এবং মাত্র ২৭৬০/- টাকা বা কিছু বেশি খরচে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বণ্টন সম্পন্ন করা সম্ভব।

এছাড়াও, আপোষে বণ্টন করা হলে একদিনেই সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বণ্টন দলিল প্রস্তুত করা সম্ভব হবে এবং জমি খারিজ করিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু, যদি আপোষে সমঝোতা সম্ভব না হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে বাটোয়ারা মামলা করতে হবে। এতে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশান সনদ এবং সম্পত্তির কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আদালত প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে সম্পত্তি বণ্টন করে দিবে, তবে এই প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ হতে পারে।

দেশে শহর কিংবা গ্রামে, ফ্ল্যাট, মার্কেট বা যে কোনো সম্পত্তি এখন অত্যন্ত মূল্যবান। তাই ভূমির বণ্টন ও জরিপের কাজ বর্তমানে ১০০% ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে, যা সবার জন্য একটি স্বচ্ছ এবং সহজ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করছে।