সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও রমজান মাসে ভিক্ষুকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, কিছু পেশাদার ভিক্ষুক ঘণ্টায় ৩৫৭ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় ১২ হাজার টাকারও বেশি) আয় করছেন। রবিবার (১৬ মার্চ) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শারজাহ পুলিশ সম্প্রতি একটি অভিযান চালিয়ে দেখিয়েছে, কিভাবে কিছু মানুষ পেশাগতভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন। পুলিশ এক ব্যক্তিকে ভিক্ষুক সাজিয়ে মসজিদের সামনে পাঠায়। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ওই ব্যক্তি ৩৫৭ দিরহাম ভিক্ষা পান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়, যদি কেউ বাধাহীনভাবে ভিক্ষা করার সুযোগ পায়, তাহলে তার আয় কতটা বিপুল হতে পারে।
শারজাহ পুলিশ জানিয়েছে, বেশিরভাগ ভিক্ষুক প্রকৃত অভাবী নন, বরং তারা পেশাগতভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। সাধারণ মানুষের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করেন। এ কারণে পুলিশ জনগণকে ভিক্ষা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে। পুলিশের পরামর্শ হলো, যদি কেউ সাহায্য করতে চান, তাহলে তা বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে করা উচিত। অর্থাৎ দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে সাহায্য করলে তা সত্যিকারের অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। আইন অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির অপরাধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। তবুও রমজান মাসে কিছু মানুষ বিশেষভাবে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে প্রবেশ করেন। পুলিশ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে।
এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, ভিক্ষাবৃত্তি শুধু আইনবিরোধীই নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যাও বটে। পুলিশের এই উদ্যোগ ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।