সকল খবর দেশের খবর

জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আসিফ মাহমুদ, সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৩০-৬-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০১৩

শত্রুর ওপর নজরদারির পরিবর্তে দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাদের সব শক্তি ও জনগণের অর্থ ব্যয় করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

গতকাল রবিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে অস্ত্রের ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে—এমন দাবি করে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এ বিষয়ে পরে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, “গতকালের ঘটনায় এটা পরিষ্কার যে, পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি কিংবা আপনি কেউই এই দেশে নিরাপদ নই। প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে বিদেশে অবস্থানরত কারও হাতে পৌঁছে যায়, তা ভেবে শিউরে উঠতে হয়।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই ক্ষমতা ব্যবহার করে কোনো দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, গুপ্তহত্যাকারী কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আমাদের রিয়েল-টাইম লোকেশন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, শিডিউল, এমনকি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাও বিক্রি করে দেওয়া যেতে পারে।”

সরকারে থেকেও এমন ঘটনার শিকার হওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “আমি নিজেই সরকারে আছি। আমার সঙ্গে যদি এমন হয়, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কতটা নাজুক তা সহজেই অনুমান করা যায়। এ ধরনের তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তি কী হওয়া উচিত, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের দায়িত্ব ছিল শত্রুর ওপর নজরদারি করে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা এখন জনগণের ওপর নজরদারি, টার্গেটেড ক্যারেক্টার অ্যাসাসিনেশন এবং মিথ্যা প্রচারণায় ব্যস্ত।”

আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেন, “তারা যখন লেজিট কোনো কিছু খুঁজে পায় না, তখন উদ্ভট ও হাস্যকর বিষয় নিয়েই আক্রমণ চালায়। দুঃখজনকভাবে এখন কিছু তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানপন্থী এবং প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের বক্তব্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকছে না।”

তবে তিনি আশার কথা হিসেবে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। যদি গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা কারো সঙ্গে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাহলে জনগণের বুঝতে বাকি থাকবে না—এর পেছনে কারা আছে।”

সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে জাতীয় নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার এবং স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।