সকল খবর দেশের খবর

কাজ না করেই টাকা উত্তোলন, শুনানিতে দু'কর্মকর্তা !

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৯-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৫৯

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ না করেই প্রায় ছয় লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী ও উপজেলা প্রকৌশলী কাজী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শুনানির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) তাসলিমুন নেছার নেতৃত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  

জেলা প্রশাসনের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আশ্রাফ হাবিব মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুনানিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া, জাগো নিউজের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মজনুকেও শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাগো নিউজে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ অভিযোগ উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজস্ব তহবিল থেকে পুরাতন ভবন সংস্কার প্রকল্পে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিলন এন্টারপ্রাইজকে ২০২৪ সালের ৮ জুলাই কার্যাদেশ দেওয়া হয় এবং একই বছরের ২০ আগস্ট কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা হয়। তবে, সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটির কোনো সংস্কার কাজই করা হয়নি।  

উপজেলা কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে উন্নয়নমূলক কোনো কাজের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, টাকা উত্তোলনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলন হোসেনের কাছ থেকে একটি খালি চেক নেওয়া হয়েছিল। মিলন হোসেন জানান, তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী কাজী কামরুল ইসলামের মাধ্যমে ইউএনও আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী তাকে ডেকে চেকটি সই করতে বলেন। পরে তিনি জানতে পারেন, তার ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।  

সাবেক ইউএনও আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে, প্রকৌশলী কাজী কামরুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শুনানিতে তাদের পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম এবং প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর কবিরকেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।  

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুনানির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।