আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে অর্থের কোনো ঘাটতি রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য যত টাকা প্রয়োজন, সরকার তা বরাদ্দ দেবে। অর্থ নিয়ে কোনো কার্পণ্য করা হবে না।”
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন একটি জাতীয় দায়িত্ব। এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। অর্থ বা অবকাঠামোগত কোনো সমস্যা থাকবে না।”
এদিকে একদিন আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানানো হবে, যেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, “একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার। আমরা চাই, এই নির্বাচন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলুক। নির্বাচন যেন হয় উৎসবমুখর, যাতে সব নাগরিক ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পথে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি যথাসময়ে সম্পন্ন করা হবে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সে পরিবেশও নিশ্চিত করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে সরকারের প্রস্তুতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।