সকল খবর দেশের খবর

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত : আসিফ নজরুল!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৬-৪-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০২৭

জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলমান আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে জুনের পর নয়। তিনি বলেন, “আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করতে চাই, অকারণে দেরি করার কোনো প্রশ্নই আসে না। ক্ষমতায় থাকার উদ্দেশ্যে সময়ক্ষেপণ করা হবে না।”

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্দিষ্ট কোনো নির্বাচনের তারিখ পাননি এবং দলটি এতে সন্তুষ্ট নয়।

বিএনপির অসন্তোষের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন,
“বিএনপির নেতারা বলেছেন উপদেষ্টাদের কথায় অস্পষ্টতা আছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, উপদেষ্টারা যা-ই বলুন না কেন, প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত। আর প্রধান উপদেষ্টা পরিষ্কারভাবে বলেছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। জুনের পরে নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের টাইমলাইন দেওয়ার পেছনে উদ্দেশ্য কোনোভাবেই সময় নষ্ট করা নয়। বরং সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় একসঙ্গে দেখেই সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

আসিফ নজরুল জানান, সরকার চায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হোক। “হাজারো মানুষ প্রাণ দিয়েছে। আমরা যদি সেসব ঘটনার বিচার না করি, তাহলে জনগণ বা নিজের কাছে জবাবদিহি করব কীভাবে?”—বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
“বিএনপি বলেছে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত। এটা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান। মির্জা ফখরুল ভাইয়ের কাছে হয়তো আমাদের বক্তব্য অস্পষ্ট মনে হয়েছে, তবে আমি মনে করি তারা আমাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব উত্তর পেয়েছেন।”

বিএনপির দাবি অনুযায়ী, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হলে তা দেশের জন্য ভালো হবে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর পরে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে যাবে।

সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন,
“আমরা যতটা সম্ভব সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচন করতে চাই। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে, তবে আমরা জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করব—এমনটা নয়। একেবারে সময়মতোই নির্বাচন আয়োজন করা হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের মতো এত পরিষ্কার ভাষায় জানানো হলো যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের জুনের আগেই অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে রাজনৈতিক অঙ্গনে থাকা অনিশ্চয়তার অনেকটাই অবসান ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।