অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে, যা আবাসিক হলের সিট দখল নিয়ে সংঘটিত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লাহর (যাযাবর নাঈম) অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিককে মারধর করে। আহত সাংবাদিকরা হলেন ফাহাদ বিন সাঈদ (আজকের পত্রিকা) ও আহসান হাবিব রিয়াদ (যায়যায়দিন পত্রিকা)। মারধরের ফলে তারা গুরুতর আহত হন এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার, সদস্য হিসেবে ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ এবং প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি। তদন্তের পর, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শাস্তি প্রাপ্তদের মধ্যে ৪ জনের সনদ বাতিল করা হয়েছে, ১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে, ২ জনের সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক সহ-সভাপতি আবু নাঈম আব্দুল্লাহ (যাযাবর নাঈম), জয় মোড়ল, লোবন মোখলেছ, তানভীর আহমেদ তুহিন, মোস্তফা ফাহিম সিরাজি, সামিউল হক হিমেল, মাছুম বিল্লাহ, রেজওয়ানুল কবীর রাব্বি, আবু রায়হান, গালিব ফয়সাল নির্ঝর, সৌমিক জাহান, নাঈমুল ইসলাম অনিক, পবিত্র মন্ডল, আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়ার এবং হাবিবুল্লাহ ও নয়ন হাসান। তাদের সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেতরকার অশান্তি এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।