নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায় শ্বশুরকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয়েছে, প্রবাসে থাকা স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি শ্বশুরকে হুমকি দেন এবং পরে শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শ্বশুরের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা জানান, গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তিনি স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুর প্রবাসে থাকা ছেলেকে অবহিত করেন। এ নিয়ে পরিবারে উত্তপ্ত বিতর্কের পর গৃহবধূ শ্বশুরকে হুমকি দেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকে জেলের ভাত খাওয়াবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, এরপর গৃহবধূ শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত সোমবার রাতে সেহেরি খাওয়ার আগে শ্বশুর ঘুমন্ত পুত্রবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, শ্বশুরের গ্রেফতারের পর এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক পোস্ট ও ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিযোগকারী গৃহবধূ টিকটকে সক্রিয় ছিলেন। স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার টিকটকে একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে তাদের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে গৃহবধূ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যার সঙ্গে টিকটক করেছি, সে আমার পাশের বাড়ির মামা। তার সঙ্গে আমার কোনো পরকীয়ার সম্পর্ক নেই।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ‘গৃহবধূ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার ভিত্তিতে শ্বশুরকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগকারী গৃহবধূর বিরুদ্ধে ফাঁসানো মামলার অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে গেলে গৃহবধূ শ্বশুরকে ফাঁসানোর জন্য মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ বলছে, মামলার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।