সকল খবর দেশের খবর

অখণ্ডতা রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত নবীন সৈনিকরা : বিজিবি ডিজি

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১০-৭-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০২৭

দেশের সীমান্ত রক্ষায় প্রাণ দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের ৬৯৪ জন নবীন সৈনিক আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ঐতিহ্যবাহী বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি)–এর বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি নবীন সৈনিকদের অভিবাদন গ্রহণ শেষে বলেন, “দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি রক্ষায় নবীন সৈনিকরা প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে। সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি বরাবরই দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে বিজিবি সফলতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তাকারী একটি বিশ্বস্ত বাহিনী হিসেবেও বিজিবি সুপ্রতিষ্ঠিত।”

প্রধান অতিথি নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “শৃঙ্খলা একজন সৈনিকের শ্রেষ্ঠ গুণ। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনও পিছপা হয় না, সেই-ই প্রকৃত সৈনিক। সততা, আনুগত্য, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও সাহসিকতা—এই গুণগুলো অর্জন করতে হবে।”

নারী সৈনিকদের বিশেষভাবে অভিনন্দন জানিয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। আজকের নবীন নারী সৈনিকরাও বিজিবির সুনাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতা বাহিনীর সামগ্রিক অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।”

উল্লেখ্য, ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি। ছয় মাসব্যাপী কঠোর ও সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ শেষে ৬৫৮ জন পুরুষ এবং ৩৬ জন নারী, সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুট আজ প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে বিজিবি-তে পূর্ণাঙ্গ সৈনিক হিসেবে যোগ দিলেন।

অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে বিজিবি মহাপরিচালক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী নবীন সৈনিকদের প্রশংসা করেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান।