বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির ডাকা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী রক্তঝরা আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়। ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব ও মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। এর মূল ভিত্তি রচনা করেছে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তাদের সংগ্রামের সময়ে উপস্থাপন করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য দেশ ও দেশের মানুষের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্যকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, যাতে এই ঐক্য বিনষ্ট হয়।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহল যেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ করতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। এই ঐক্যকে শক্তিশালী করতে সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিকে একসাথে কাজ করতে হবে।  

তিনি শেষে বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ও সততা অপরিহার্য। কোনো পক্ষের রাজনৈতিক স্বার্থ যেন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।