হাইকোর্ট আজ (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার পান্থকুঞ্জ উদ্যান দিয়ে ঢাকায় দ্রুতগতির এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বন্ধ এবং উদ্যানটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, লেখক ও গবেষকদের করা রিট‑মামলায়- যার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া- এই আদেশ তুলে ধরেছেন আদালত।
২০১৪‑১৫ সাল থেকে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল রক্ষণাবেক্ষণে সক্রিয় বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন, ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে টানা ১৬৮ দিন ধরে উদ্যানের রক্ষা ও সংযোগ সড়কের বিরুদ্ধে অবস্থান, প্রতিবাদ ও কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মে ‘জনগণ বনাম অন্তর্বর্তী সরকার’ শীর্ষক গণ-আদালতের মাধ্যমে সংযোগ সড়ক বন্ধ এবং উদ্যান উন্মুক্ত করার দাবি বৈঠকে গৃহীত হয়েছিল, যা মেনে নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত জানুয়ারি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী পরিবেশ ছাড়া‑পত্র সংক্রান্ত তথ্য চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্পের জন্য সরাসরি পরিবেশ ছাড়পত্র ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল, তারপর নবায়ন করা হয়নি- অর্থাৎ নবায়নহীন কাজ চলছিল।
আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে পান্থকুঞ্জে নতুন যন্ত্রপাতি এনে কাজ শুরু করার অভিযোগে রিট করা হয়েছে। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।” পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে পরিবেশ আইনি মামলায় হাইকোর্ট পান্থকুঞ্জকে উন্মুক্ত স্থান হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা এখনও কার্যকর।
এই রিটে রাস্তা পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও জলবায়েু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, রাজউক চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালককে বিবাদী করা হয়।