প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তারা সবাই বনানী বিদ্যানিকেতনের সাবেক শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালতে তাদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবুর রহমান, যিনি রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।
নিহত জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪) প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩টায় পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পাশে থাকা ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রীকে ঘিরে হাসাহাসি হয়েছে কিনা তা জানতে আসেন মেহেরাজ, গিফফারি ও মাহাথির নামের তিনজন। শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক, যা পৌঁছায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস পর্যন্ত। শিক্ষকরা বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে গেটের সামনে পারভেজের ওপর ছুরিকাঘাত চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার রাতেই পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মো. মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাকি আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।