অন্যান্য খবর আইন-আদালত

প্রাইম এশিয়া শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলায় ৩ গ্রেপ্তার!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২১-৪-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০২৯

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন— মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)। তিনজনই স্থানীয়ভাবে পরিচিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করতেন।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিহত পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিনজন ছাত্র— মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারীসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সবাই প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, শনিবার বিকেলে পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গলিতে চা ও সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য যান। সেখানে থাকা তিনজন ছাত্রী অভিযোগ করেন, তারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধুদের জানানো হলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মীমাংসা করে।

তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পর মাহাথি, মেহেরাব ও আবুজর গিফারী মিলে হাজারীপাড়া এলাকা থেকে বহিরাগত কিছু যুবক নিয়ে এসে পারভেজের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় পারভেজ দৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানেই তিনি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম হন এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর পাঁচ সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। তবে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং ঘটনাটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও ঘটনার পেছনের মূল কারণ উদঘাটনের জন্য কাজ করছে তদন্ত দল। পাশাপাশি ক্যাম্পাস ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য তারা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এবং অনেকে ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন।