পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় এক নাবালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নাবালিকা (১৭) ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত এক শহীদের মেয়ে।
ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি। পুলিশ ইতিমধ্যে সাকিব মুন্সিকে আটক করেছে, তবে সিফাত মুন্সি এখনও পলাতক।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর নাবালিকা তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী এলাকা থেকে সাকিব ও সিফাত তাকে পিছু নেয়। পরে তারা তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায় এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তারা নাবালিকার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সব দিক উন্মোচন করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।