মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে 'খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ' বিষয়ক সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "খাদ্য সংকট সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ থেকে কিছু পরিমাণ চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট আরো বাড়তে পারে। আগেও এখানে সার এবং জ্বালানি তেলের চোরাচালান ছিল, তাই চোরাচালান প্রতিরোধে নজরদারি কঠোর করা হয়েছে।"
উপদেষ্টা আরও বলেন, "বাংলাদেশে বর্তমানে খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদ এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে চালের যে সংকট ছিল তা কাটিয়ে উঠবে এবং দামও সহনশীল থাকবে। বর্তমানে দেশে ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ রয়েছে।"
তিনি বলেন, "আগামী রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনশীল রাখতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আগামী রমজান মাসে ৫০ লাখ পরিবার কেজি প্রতি ১৫ টাকায় ৩০ কেজি চাল পাবে। ঈদ উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল উপহার হিসেবে দেয়া হবে।" এসব উদ্যোগ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেয়া হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে জলসীমান্ত ৫৪ কিলোমিটার।