প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি মেরামত করা যাবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরাই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার সচিবালয় চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ কথা বলেন। তিনি গণপূর্তের পক্ষ থেকে ওই ভবন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
ভবনটির চারটি তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জানিয়ে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, প্রতিটি তলায় গড়ে ছোট–বড় মিলিয়ে মোটামুটি ৪০ থেকে ৫০টি করে কক্ষ রয়েছে। চারটি তলাতেই কোথাও সম্পূর্ণ, কোথাও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভবনটি মেরামত করা যাবে কি না জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে স্যাররা মতামত দেবেন। বিশেষজ্ঞ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বড় বড় প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করছেন। আজও করেছেন। সবকিছু পরিদর্শনের পর তাঁরা একটি প্রতিবেদন দেবেন। তবে প্রাথমিকভাবে মেরামত করা যাবে বলে মনে হয়।’
তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান এই ভবন অনেক পুরোনো, এখন কি সেটি আবার ব্যবহার করতে পারবেন, এটি কি ভাঙতে হবে—জবাবে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, গণপূর্তের বড় বড় ডিজাইনার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা আসছেন, তাঁরা দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।
গত বুধবার ছিল বড়দিনের ছুটি। এদিন গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে এই ভবনে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতেও বড় ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির ক্ষতিগ্রস্ত তলাগুলো আপাতত ব্যবহার করার সুযোগ নেই। এ জন্য অস্থায়ীভাবে বিকল্প অফিস করছে মন্ত্রণালয়গুলো।
ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।