সকল খবর দেশের খবর

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১২-৭-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৩৪

সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে পৃথক ঘটনায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাগানবাড়ি সীমান্তে এবং শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে এই দুইটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষ।

সুনামগঞ্জের ঘটনায় নিহত শফিকুল ইসলাম (৪৫) দোয়ারা বাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির জানান, শুক্রবার রাতে শফিকুলসহ ১০-১২ জনের একটি দল সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিতে শফিকুল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে সঙ্গীরা তাকে বাড়িতে এনে ফেলে রেখে চলে যান। পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে দোয়ারা বাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।

অপরদিকে, শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আসকর আলী (২৪)। তিনি ওই উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। দিনাজপুরের ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, ভোর আনুমানিক চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি ভারতের অভ্যন্তরে ৩৫৩ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করলে ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই আসকর আলী মারা যান এবং তার মরদেহ ভারতের ভেতরে প্রায় ২০০ গজ দূরত্বে পড়ে থাকে। বিজিবি জানিয়েছে, মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকারকর্মীরা। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয়ের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।