অন্যান্য খবর আইন-আদালত

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৭ জনের

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৩০-৭-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০২১

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার বাকি ১৭ আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন। বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন। তিনি জানান, মামলার মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন। বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাতজন হলেন—ইলিয়াছ, আব্দুন নূর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর। আদালত বাকি ১৭ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু আসামিকে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আদালতের পেশকার আল আমিন রানা জানান, মামলার প্রধান আসামি সাইফুল আলম গ্রেফতারের পর থেকে প্রায় পৌনে চার বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত ১৩ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেন।

মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ মে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম নজির উদ্দিনের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি তুলতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাতিজা সুমেল মিয়া ও অন্য স্বজনরা। একপর্যায়ে সাইফুল তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালান। এতে দশম শ্রেণির ছাত্র সুমেল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুলিতে তার বাবা ও চাচাসহ চারজন আহত হন।

ঘটনার পর নিহত সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ৩ মে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রথমে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও তদন্ত শেষে তৎকালীন ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী আদালতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, “এই মামলায় হত্যার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সন্তোষজনক রায় পেয়েছি আমরা।”