অন্যান্য খবর রাজনীতি

সংস্কারে ঐকমত্য, শিগগির জাতীয় সনদ !

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১৫-৪-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৩০

রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সবার অভিন্ন লক্ষ্য থাকলেও, তা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে সামান্য মতপার্থক্য। তবে এসব মতভেদ দূর করে যেখানে ঐকমত্য রয়েছে, সেসব বিষয়কে ভিত্তি করেই দ্রুত একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব—এমন প্রত্যাশার কথা জানালেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে তিনি বলেন, “প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আরও আলোচনা করব এবং চেষ্টা করব কিভাবে এক জায়গায় এসে পৌঁছাতে পারি।”

সংলাপে স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যার প্রয়োজন। এতে করে কমিশনের অবস্থান ও দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হবে এবং প্রক্রিয়াটি আরও গতি পাবে।”

জাতীয় সনদ প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদের অবস্থানে পৌঁছানো। যেহেতু কমিশনের মেয়াদ জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত, তাই প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ করতে চাই। এরপর দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যাব।”

তিনি আরও বলেন, “আলোচনা টেবিলে আমরা যদিও দুই পাশে বসেছি, এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ নেই। সবাই এক পক্ষ—রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একক লক্ষ্যেই কাজ করছি। মতপার্থক্য থাকলেও, ঐক্যের জায়গাটিকে দৃঢ় করে আমাদের এগোতে হবে। অতীতে যেভাবে ঐক্য হয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে, এবারও সেই ঐক্যের ভিত্তিতেই রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব।”

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সফর রাজ হোসেন। এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

সংলাপে এনডিএম জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানায়। দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “আমরা রাষ্ট্র সংস্কারকে বড় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই। জনবান্ধব সরকার গঠনে এ সংস্কারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট শক্তি যাতে ভবিষ্যতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য ফ্যাসিজমের চূড়ান্ত অবসান এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি নতুন ধারা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।”