মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আবারও আলোচনায় এসেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ মার্চ) ব্রিফিংয়ের সময় এক সাংবাদিক বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
প্রশ্নকারী সাংবাদিক উল্লেখ করেন, মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং একটি ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তবে তিনি মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সরাসরি দায়ী করেননি। ইউনূস সরকারও এসব অভিযোগকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে এবং এগুলোকে অসত্য বলে উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, প্রশ্নকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত একটি বড় আকারের খিলাফতপন্থী র্যালির কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানতে চান, মার্কিন সরকারের চলমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্র কী ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে?
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস প্রশ্নের জবাবে বলেন, "আমরা যেকোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার যেকোনো ঘটনার নিন্দা জানাই। বাংলাদেশে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। এটাই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। এবং এটাই অব্যাহত থাকবে।"
মার্কিন সরকারের এই মন্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও আলোচনার তীব্রতা নির্দেশ করে। বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার হুমকি এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশিত হলেও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সরাসরি অভিযোগ এড়ানো হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত খিলাফতপন্থী র্যালি এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেলেও, ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তা এখনও অনিশ্চিত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনা আগামী দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।